Breaking News

Recent Posts

Radio iSociety International || 10-06-2018

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো দিল্লী বইমেলা।১টি রিপোর্ট ‘৷ ৷৷ আনন্দ ৷৷

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো দিল্লী বইমেলা। নিরদ মজুমদার-এর ১ টি রিপোর্ট

——————————————————————
তোমাদের তীর্থ দেখে এলে?তীর্থদর্শন আমি মানি না।তবু বুকের ভেতর উথালপাতাল ঘটে, যখন দেখি আপামর পড়ুয়াদের কাছে তীর্থদর্শন যখন বইমেলা হয়।সদ্য শেষ হলো সপ্তদশ দিল্লী কালিবাড়ি বইমেলা।তার শেষ রেশটুকু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো দিল্লী বইমেলা।১টি রিপোর্ট '৷ ৷৷ আনন্দ ৷৷নিয়েই চেষ্টা করছি অনুভূতিতে প্রয়োগ হওয়া অনুরণনটুকুর কম্পাংকের যতিচিহ্নের রেখাপথ আঁকার।একটা দেশের রাজধানী দিল্লীতে বাংলা বইমেলা, তাও ১৯১১র পর।যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন এবং বলতে ভালোবাসেন এই মেলার দৃশ্যতা যেন তাদের জন্য।ভীষন সাজানো গোছানো।এক কথায় স্মার্ট।উদ্বোধন করলেন প্রখ্যাত ভাষা সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ শ্রী পবিত্র সরকার। দিল্লী-র প্রগতি ময়দানে আয়োজিত হোজ বা কলকাতা, সকলের প্রেক্ষিতে একে দেখলে, হয়তো ফাঁকে পড়ে যাবো।এই বইমেলা স্রেফ বইয়ের মেলা নয়, এই মেলা যেন মিলন ~ থাকবন্দী ইতিহাসের সঙ্গে কাটানো বৃষ্টির সংগোপন মুহূর্ত।যেখানে একই সঙ্গে অমর্ত্য সেন, ‘দেখি নাই ফিরে’ র বেইজ সঙ্গে ‘নীরা’ কে সঙ্গে নিয়ে টি শার্ট।
এই বইমেলায় ঘোরা মানুষদের গড় বয়স হয়তো ৫০-৫৫ বছর।এখানে আগত অধিকাংশই লেখক এবং পাঠক এবং সংগঠক।তারা নিজেরাই লিখেছেন, নিজেরাই হৈহৈ করে কবিতা পড়ছেন ~ হেঁড়ে গলায় গান গাইছেন।এ যেন অনেকটাই self author এর ব্যাঞ্জনায় বর্ণময়।এখানে ভিড় নেই, এখানে ব্যস্ততা নেই।চলতে থাকা বিভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠান রেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে মুহূর্মুহু এক অচিনপুরীর রূপকথায়।স্টলে রয়েছে নিজের লেখা বই, যা হাতে নিয়ে নিজেই দেখছেন – এই যোগাযোগ কি সৃষ্টির কোনো identity তৈরি করলো না স্রষ্টার কাছে?যেখানে স্রষ্টা এক মিথোজীবিতার কাছে মৃত।
সব মিলিয়ে সর্বমোট গোটা ৫০ স্টল।স্থানীয় এবং কলকাতা-র বাংলা প্রকাশনীগুলির এক অপূর্ব অভূত মেলবন্ধন।সঙ্গে বাংলাদেশের স্টলটি যেন অন্য মাত্রার মায়াজম্।গুরুচণ্ডালী, গাংচিল-দের পাশাপাশি ত্রিপুরা থেকে আগত স্রোত এবং তার সাথে বুটিক এবং অলঙ্কারের স্টল অনেকটা ফুরফুরে করে দেয় মেজাজ।ছোটো অথচ সুস্বাদু খাবারের স্টলের রকমারি স্বাদ কিছুদিন তো লেগে থাকবেই জিভে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সীমাবদ্ধতার মুক্তি কবি চাইবেন কিনা জানি না – কিন্তু কবিদের সমাগম এবং স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে আড্ডা এবং গুলতানি যেন বেশ নেশা ধরায়।বিভিন্ন ধরনের আলোচনা এবং সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো পায়ের নীচে কার্পেটের মতোই মনোরম।যেমন কালিকাপ্রসাদ মঞ্চ – এরকমই তো হবার কথা ছিল।নিজস্বতাকে ধরে রাখার চেষ্টা।এই শিকড়গুলোর খোঁজ যেন গোলোকায়নের শিকড়হীন করে দেওয়ার অভিপ্রায়কে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় – রাষ্ট্রকে ভাবতেও হয়, ভাবাতেও হয়।
আলোচনায় : নিরদ মজুমদার

 

(ছবি : সংগৃহীত বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন দিল্লী-র ফেসবুক পেজ থেকে)

কবি সম্মেলন ও ‘নিনি’ পত্রিকা প্রকাশ । নিজস্ব প্রতিবেদন ৷ বহরমপুর ৷

নিজস্ব প্রতিবেদন,বহরমপুর,১৯-০৩-২০১৮ ॥ ১৮ মার্চ বহরমপুরের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাপীঠের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল কবি সম্মেলন অনুষ্ঠান।বহরমপুরে কবি সন্দীপ বিশ্বাসের কবিতা সমগ্র বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করলেন কবি

কবি সম্মেলন ও 'নিনি' পত্রিকা প্রকাশ । নিজস্ব প্রতিবেদন ৷ বহরমপুর ৷
নিনি

অরুণাংশু ভট্টাচার্য। উক্ত সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল ‘নিনি’—এটি কবিতা বিষয়ক চতুর্মাসিক পত্রিকা ।গ্রীষ্ম,শরৎ ও শীত সংখ্যা—এইভাবে প্রকাশিত হয়। নিনি-র এবার পাঁচ বৎসর পূর্ণ হল। ১৫ তম সংখ্যায় নিনির আত্মপ্রকাশ ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যের আবুল বাশার, কবি অরুণাংশু ভট্টাচার্য, অধ্যাপক হাসমত সাহেব ,অধ্যাপক শক্তিনাথ ঝা,কবি জহর সেন মজুমদার,নাসের হোসেন নিখিল কুমার সরকার প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন অরুণাংশু ভট্টাচার্যের স্ত্রী রূপা ভট্টাচার্য। সামগ্রিকভাবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সৌরভ হোসেন।

অনলাইন পত্রিকা ‘দৈনিক বজ্রকন্ঠ’ ৫০ তম সংখ্যা

দৈনিক বজ্রকন্ঠ ৫০

 

নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৬-০৩-২০১৮, কলকাতা ॥ ত্রিপুরার আগরতলা থেকে প্রকাশিত হল দৈনিক কবিতার অনলাইন পত্রিকা ‘দৈনিক বজ্রকন্ঠ’ ৫০ তম সংখ্যা। পত্রিকাটিক সম্পাদক হলেন রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ।কবিতা পত্রিকা অনলাইন পত্রিকা 'দৈনিক বজ্রকন্ঠ' ৫০ তম সংখ্যা‘দৈনিক বজ্রকন্ঠ’ প্রথম প্রকাশিত হয় ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ তে। এরপরে প্রতিদিন নিয়মিত বের হয়ে আসছে এই কবিতা পত্রিকাটি। ৫০ তম সংখ্যায় যাদের লেখা রয়েছেন তারা হলেন মেঘমালা দে মহন্ত,সানি সরকার,রাজীব ভট্টাচার্য, সেলিম মুস্তাফা,ইমেল নাঈম। উল্লেখ্য ২০০৮ সালে ‘বজ্রকন্ঠ’ প্রথম প্রিন্ট পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়।এরপর পত্রিকাটি নিয়মিত ১০ টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির প্রিন্ট সংখ্যা এখনো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।সম্পাদক রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ জানান -‘ বজ্রকন্ঠ একটি সাহিত্য পত্রিকা। কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ নিয়ে পত্রিকাটি নিয়মিত বের হচ্ছে। কিন্তু কবিতা প্রতি অগাধ টানে প্রিন্ট পত্রিকা ‘বজ্রকন্ঠ’ সাথে ‘দৈনিক বজ্রকন্ঠ’ কবিতা পত্রিকা হিসেবে অনলাইনে এখন নিয়মিত প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে’। দৈনিক বজ্রকন্ঠ প্রকাশের পর সকল অংশের লেখকদের মধ্যে এক বিপুল উন্মাদনা দেখা যায়। প্রতিদিন দৈনিক বজ্রকন্ঠ পড়তে ক্লিক করুণ – https://dainikbajrokantho.blogspot.in/?m=1

রাঢ় বাংলা কবিতা উৎসব। বিশ্বজিৎ ৷ i-সোসাইটি ৷ ৷৷ আনন্দ ৷৷

গত ১১ ই মার্চ ২০১৮ দেউল পার্ক,বনকাটি,কাঁকসায় (পশ্চিম বর্ধমান) অনুষ্ঠিত হল “রাঢ় বাংলা কবিতা উৎসব”।

 

রাঢ় বাংলা কবিতা উৎসব। বিশ্বজিৎ ৷ i-সোসাইটি ৷ ৷৷ আনন্দ ৷৷ছিল অনেক কবির কবিতা পাঠ,তার সাথে কবিদের সম্মাননা প্রদান।উপস্থিত ছিলেন- কবি উমাপদ কর,সুজিত দাস,সুকুমার রুজ,শান্তিময় মুখোপাধ্যায়, অর্ঘ্য রায়,তাপস মাল,বুদ্ধদেব হালদার,অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়,ছন্দম মুখোপাধ্যায় ,সৈকত ঘোষ,তন্ময় মন্ডল,সতীন্দ্র অধিকারী আরও অনেকে।এবং সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন বনতলি পত্রিকার সম্পাদক বিশ্বজিৎ আঁকুড়ে।

চলচ্চিত্র কর্মী ও কলাকুশলীদের জন্য NGO সংগঠন আয়োজন করলো চক্ষুপরীক্ষা শিবির (আইক্যাম্প) ~ ১টি রিপোর্ট।আলোচনায় চলচ্চিত্র কর্মী আলপনা ব্যানার্জী ৷ i-সোসাইটি ৷ ৷৷ শান্তি ৷৷

চলচ্চিত্র কর্মী ও কলাকুশলীদের জন্য NGO সংগঠন আয়োজন করলো চক্ষুপরীক্ষা শিবির (আইক্যাম্প) ~ ১টি রিপোর্ট।আলোচনায় চলচ্চিত্র কর্মী আলপনা ব্যানার্জীচলচ্চিত্র কর্মী ও কলাকুশলীদের জন্য NGO সংগঠন আয়োজন করলো চক্ষুপরীক্ষা শিবির (আইক্যাম্প) ~ ১টি রিপোর্ট।আলোচনায় চলচ্চিত্র কর্মী আলপনা ব্যানার্জী ৷ i-সোসাইটি ৷ ৷৷ শান্তি ৷৷

————————————————————–

গত ১১ই মার্চ, ২০১৮তে আমাদের টলিপাড়ার সিনেটেল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ( www.cineteltrust.com )১৮ তম চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হল।সকাল ৯ টায় ট্রাস্টের স্বেচ্ছা কর্মীরা নাম লেখানোর তোড়জোড় শুরু করে দিলেন। ফিল্ম ইনডাসট্রির প্রায় ২২ টি ক্রাফ্ট বা বিভাগের সিনে কর্মীরা ও তাদের পরিবার সক্রিয় যোগদান করেছিলেন। ভেনু ছিল টালিগঞ্জ ট্রামডিপোর কাছে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওর উল্টো দিকে ৯ নং স্টুডিও কমপ্লেক্সের ভিতর। ওদিকে M P Birla Eye clinic এর ডাঃ ও নার্সরা রেডি ছিলেন চক্ষু পরীক্ষার জন্যে।এখানে বিনা খরচে চোখ পরীক্ষা ও ছানি অপারেশন করার ব্যবস্থা হয়।প্রত্যেক দিন বড় পর্দার সিনেমা বা ছোট পর্দার সিরিয়াল তৈরি হওয়ার কর্মকান্ডের পিছনে যে সিনে কর্মীদের অনেক অবদান আছে, একথা স্বীকার করতেই হয়। দর্শকরা যে বিনোদন সকাল- সন্ধায় টি ভির পর্দায় দেখে খুশি হন বা সময় কাটান, তার পিছনে অক্লান্ত পরিশ্রম আছে এই সিনে কর্মীদের।তাই এই কিছু দুঃস্থ শিল্পী ও কলা- কুশলীদের জন্য সিনেটেল প্রতিবছর এই চোখ পরীক্ষার আয়োজন করে। প্রতি বছরের মত এ বছরও উপস্থিত ছিলেন সিনেটেলের চেয়ারম্যান শ্রী সৌমিত্র চ্যাটার্জী।শিল্পী শংকর চক্রবর্ওী, কুশল চ্যাটার্জী, লাবনি সরকার, কৌশিক ব্যানার্জী, দিগন্ত বাগচী, শর্মিলা, জয়ন্ত উত্সাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন পরিচালক বিষ্ণু পালচৌধুরী, বিমল দে ও অন্যান্য পরিচালক-বৃন্দ।এছাড়াও সেক্রেটারি প্রনব চৌধুরী, অজিতদা, সৌমেনদা,অনিমেষদা, মিহিরদা, রাজা প্রমুখের সক্রিয়তায় খুব ভাল ভাবে অনুষ্ঠানটি হল। আমরা আরও দুঃস্থ শিল্পী ও কলা- কুশলীদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য কম। তাই বাংলার প্রিয় দর্শকমহলও যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে আরও ম্লান মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব ৷

স্টিফেন হকিং ~ শ্রদ্ধার্ঘ ৷ i-সোসাইটি ৷ রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় ৷ ৷৷ শান্তি ৷৷

কালোঘোড়ার গতিবেগ ~ হার মানাচ্ছে ০-আকার
(বিজ্ঞানী।চিন্তাবিদ। স্টিফেন হকিং ~ শ্রদ্ধার্ঘ)
————————————
জন্ম ১৯৪২ সাল।বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যুর ঠিক ৩০০ বছর পর ~ অক্সফোর্ডে জন্ম নেন্ এই বিস্ময় প্রতিভা।হ্যাঁ, বিস্ময় প্রতিভা তো বটেই।মাত্র ২১ বছর বয়সে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে যখন মৃত্যু আসন্ন (অন্ততঃ তাঁর চিকিৎসকের মতে), কিভাবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন তার চিন্তাশক্তি ~ সেই তো স্টিফেন হকিং ~ শ্রদ্ধার্ঘ ৷ i-সোসাইটি ৷ রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় ৷ ৷৷ শান্তি ৷৷বিস্ময় প্রতিভার উত্তরসূরি।কসমোলজি / কোয়ান্টাম / বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পরবর্তী আপেক্ষিকতাবাদ ~ শুধুমাত্র বিজ্ঞান চেতনার জারনে জারিত নয়, এ এক মহাচিন্তন ~ যেখানে শূন্যেরও স্বরূপ অনুভূত।এখানেই তার ধর্মবিশ্বাস ~ তথাকথিত ঈশ্বরবিরোধীতা (তিনি যে ঈশ্বর-কে অনুভব করেছিলেন, তাকে কখনোই সুবিধাবাদ আর্থ-সামাজিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মেনে নিতে পারে নি)।আজ যখন বিশ্বজুড়ে জমি দখলের মৌলবাদ মজুত ~ এই অবস্থায় বিজ্ঞানী হকিং-এর বিভিন্ন বার্তা প্রগতিবাদী অবস্থানকে শক্তি জোগান দেয়।”দুনিয়া বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই চলে। এমন হতে পারে নিয়মগুলো ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটানোর জন্য কখনো হস্তক্ষেপ করেন না” ~ এই তার মুল বিশ্বাস।
গতো ১৪ই মার্চ, ২০১৮ : নিজস্ব গতিপথের কৃষ্ণগহ্বরে মিশে গেলেন রয়্যাল সোসাইটির সর্বকনিষ্ঠ ফেলো, এই প্রগতিকামী বিস্ময়,চিন্তাবিদ,কবি ও পদার্থবিদ মনিষী।রেখে গেলেন দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনের বহু ছাত্র, গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় কিছু অমর কাজ, সময়ের স্বরূপ এবং তিন পুত্র ও স্ত্রী।
আসুন আমরা সকল বিজ্ঞানচেতনায় লালনকামী প্রগতিবাদী মানুষ ~ আমাদের শ্রদ্ধা ও স্মরণে, তাঁর কাজগুলো ও বিশ্বাসকে এগিয়ে নিয়ে যাই।ছড়িয়ে দিই তাঁর চেতনার আলো মহাবিশ্বের প্রতিটি অন্ধকারে।

[[
তারপর ক্রমশঃ শিকড় ~ ভাসছে বহুমুখীন সময়
দেওয়াল জড়িয়ে ওঠা মহাকাশ।মহা-০-র ছাই
তড়িৎ বৃষ্টি নামে।তেজস্ক্রিয় শরীর
শিকড়ের ঘোর গভীরতা ~ চিরে ফেলা ব্যাস ]]

আলোচনায় : রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়

শব্দসাঁকোর বসন্তবিলাপ সংখ্যা প্রকাশ । বিশ্বজিৎ

শব্দসাঁকোর বসন্তবিলাপ সংখ্যা প্রকাশ

বিশ্বজিৎ

গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি অবনীন্দ্র সভাঘরে(নন্দনে) সম্পাদক সৌরভ বিশাইয়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হল এই সময়ের তরুণদের একমাত্র প্রিয় লেখার কাগজ শব্দসাঁকোর বসন্তবিলাপ সংখ্যা প্রকাশ । বিশ্বজিৎশব্দসাঁকোর বসন্তবিলাপ সংখ্যা।এই সংখ্যায় মোট একশো ছিয়াশি জনের কবিতা রয়েছে।এই অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী।এছাড়া,কবিতাপাঠ করলেন কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী,প্রত্যুষা সরকার,সংস্কৃতি ব্যানার্জী,প্রাণেশ চট্টোপাধ্যায় আরও অনেকে।অনেক কবিতা ও কথায় সুসাহিত্য সন্ধ্যা কাটল বলা যেতে পারে।

ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছুরিকাহত । সূত্র____ গাঢ় অন্ধকার ঘনিষ্ঠ আলোর পরিপূরক । রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়

সূত্র____ গাঢ় অন্ধকার ঘনিষ্ঠ আলোর পরিপূরক
রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়
######
৩রা মার্চ।২০১৮।শনিবার।বিকেল ~ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।মুক্তমঞ্চ।চলছিল ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সমাপনী অনুষ্ঠান।ছুরিকাহত হলেন ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ~ হয়তো আততায়ীরা সেইসব কল্পবিজ্ঞান ও বিজ্ঞান চেতনায় জারিত হয়েছে।অথচো_____যদিও সৎ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আততায়ী ধরা পড়েছে।কিছু বিক্ষোভও হয়েছে।দিনের শেষে তাকে রাজনৈতিক রঙেও ছোপানো হয়েছে

ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছুরিকাহত । সূত্র____ গাঢ় অন্ধকার ঘনিষ্ঠ আলোর পরিপূরক । রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ~ জন্ম ১৯৫২।২৩ ডিসেম্বর।সিলেট ~ পিতা মুক্তিযোদ্ধা এবং সাহিত্যিক শহিদ ফয়জুর রহমান আহমেদ।মা আয়েশা আখতার খাতুন।১৯৭১ : ৫ই মে পাকিস্তানি আর্মির হাতে শহিদ হন দেশপ্রেমিক পিতা, যদিও পিতার উৎসাহে অনেক আগে থেকেই ছোটোবেলায় সাহিত্য রচনা শুরু করেন জাফর ইকবাল।ফলশ্রুতিতে ৭বছর বয়সে ১ম কল্পবিজ্ঞান রচনা।
১৯৮২ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় phd সম্পন্ন করার পর ~ ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব্ টেকনোলোজি-তে ডক্টরোত্তর গবেষণা ~ তারপর, বেল কমিউনিকেশন রিসার্চ (বেলকোর-এ) গবেষক হিসেবে যোগদান।সাল ১৯৯৪ ~ দেশে ফিরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটে : কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান

১ম রচনা কল্পবিজ্ঞান ~ কপোট্রনিক ভালোবাসা।সায়েন্স ফিকশন্ এবং কল্পবিজ্ঞান রচনায় : অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ পাঠ-মহলে।দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ, ইত্যাদি একাধিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি ~ আকৃষ্ট হয় নিউ্ এজ্ বাংলাদেশী পাঠিকা-পাঠক মহল।ধর্মীয় মৌলবাদ ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই ~ তাকে আরো এগিয়ে দেয় : সৌরঘড়ির দিকে ~ যাকে লালন-পালন্ করে পাঠক-পাঠিকার নতুন ওয়েভ্।তাঁর লেখা কলামগুলোতে তাঁর রাজনৈতিক সচেতনা এবং দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর স্বাধীনতা-বিরোধী ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মত প্রকাশ এবং প্রগতিশীল চিন্তাধারার ধারক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবী ছাত্র সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে অবস্থান বিভিন্ন সময় প্রতিক্রিয়াশীলদের রোষানলে পড়েছে।আর হয়তো একারণে একের পর ১ ব্লগার্।কিছু স্বপ্রকাশ ~ জনপ্রিয়তার শীর্ষে

আর এটাই হয়তো ~ মৌলবাদী আগ্রাসন মানতে পারে নি।বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ তার বড় ভাই এবং রম্য ম্যাগাজিন উন্মাদেরসম্পাদক ও কার্টুনিস্ট, সাহিত্যিক আহসান হাবীব তার ছোট ভাই ~ যদিও ডঃ ইকবাল নিজ স্বতন্ত্রেই উজ্জ্বল
একটি জরিপের তথ্য অনুসারে, তিনি লেখক হিসেবে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে; জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৫০ জনের মধ্যে ২৩৫ জনই (৫২.২২%) তার পক্ষে মত দিয়েছে
তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের উপর ৩টি বিখ্যাত গবেষণা এবং তার পেটেন্ট ~ অথচো কল্পবিজ্ঞান বা বলা ভালো আগামী সময়-চিন্তন : আরো বেশী উন্মুক্ত ও উদার চিন্তন ~© ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল

আসুন।আমরা তাঁর দীর্ঘ জীবন কামনা করি ~ উদার করি উন্মুক্ত চিন্তনের প্র্যাকটিস

Attachments area

কাব্যযোগ ।। ডিজিটাল সময়ে মুক্তির চেতনা // চিন্তাসূত্র-২ ।।‘সামাজিক শিক্ষা পদ্ধতি’

চিন্তাসূত্র-২ ।।‘সামাজিক শিক্ষা পদ্ধতি’ কী ? কাব্যযোগ কি শেখানো হয় ?

 

~এই সামাজিক মাধ্যমের সময়পর্বে আই-চিন্তনে আমরা ‘সামাজিক শিক্ষা পদ্ধতি’র কথাই বলি । সামাজিক শিক্ষা পদ্ধতি কী ? তা হল, যে বিষয়গুলিতে বিভিন্ন মানুষের শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন আছে, সেই বিষয়গুলি নানান ভাবে বিভিন্নজনের সাথে শেয়ার করা । আমরা তো নিজেদের চিন্তা-ভাবনা, ক্রিয়াকলাপ, অভিজ্ঞতা কাব্যযোগ ।। ডিজিটাল সময়ে মুক্তির চেতনা // চিন্তাসূত্র-২ ।।‘সামাজিক শিক্ষা পদ্ধতি’সবার সাথে শেয়ার করি মাত্র । শেখাটি যে-যার সে-তার । ডিজিটাল মাধ্যমে হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক কিংবা সভা-সমিতি যেখানেই হোক না কেন, শেয়ার করার আনন্দে শেয়ার করি । প্রয়োজন ও আগ্রহ অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীরা নিজে নিজেই শিখতে থাকেন । এমন কি যিনি শিখছেন, তাঁরও শেয়ার করা নানান কথায় আলোচক সমৃদ্ধ হন। ‘ শেয়ারিং সিস্টেম’-এ একে অপরের থেকে স্বদক্ষতায় শিক্ষা গ্রহণ করবেন । এই হল i-চিন্তনের ‘সামাজিক শিক্ষা পদ্ধতি’ । কাব্যযোগ আমরা এভাবেই শেয়ার করি ।

কাব্যযোগ ।। ডিজিটাল সময়ে মুক্তির চেতনা

চিন্তাসূত্র-১ ।। কাব্যযোগ কী ?

 

~কাব্যযোগ হল i-যুগ অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে শুদ্ধ সচেতন কাব্য-চেতনায় স্ব স্ব সংকল্প অনুযায়ী সদিচ্ছা পূরণের সফলতার লক্ষ্যে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আনন্দ ও শান্তির সংযোগ স্থাপন । নবনির্মাণ জ্ঞান অর্জন এবং ফিজিক্যাল, ডিজিটাল, ভার্চুয়াল, স্পিরিচুয়াল এই বিশেষ চার পদ্ধতিতে স্বব্যবস্থাপনা অর্থাৎ স্বশক্তিকরণ, স্বপ্রকাশ, স্বমূল্যায়ন, স্বনিয়ন্ত্রণের অভ্যাসের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছনো । জীবনের ধর্ম শিল্প-ধর্ম । সহজ সরল পদ্ধতিতে স্বপরিবর্তনের মাধ্যমে দিনযাপনকে শুদ্ধ শিল্পচেতনায় রূপান্তর ঘটিয়ে যেমন নিজের অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব, ঠিক তেমনই পৃথিবীর পরিবর্তনও সম্ভব । এই যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সময়, একটি কল্পের সময়পর্বে মানবসভ্যতা এমন সময়ের মুখোমুখি কখনও হয় নি । তাই এই সময়পর্বে যাবতীয় সংকট কাটিয়ে নতুনভাবে বাঁচার জন্য

কাব্যযোগ ।। ডিজিটাল সময়ে মুক্তির চেতনা

নতুন জীবনদর্শন ও জীবনপদ্ধতির প্রয়োজন । যা আছে, যেমন আছে, সে সবেরই সাথে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আনন্দ ও শান্তির সংযোগ স্থাপন হল কাব্যযোগ । আসুন প্রতিটি চিন্তাসূত্র পাঠ করি । নবনির্মাণ জ্ঞান অর্জন এবং কাব্যযোগ অভ্যাসের মধ্য দিয়ে চেতনাকে মুক্ত করে আমি আপনি সবাই দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আনন্দ ও শান্তির সংযোগ স্থাপন করি । ।। শান্তি ।।

 

( নিয়মিত প্রকাশ চলবে )

উৎসর্গ :- বারীন ঘোষাল ৷ ~ পার্থসারথি ভৌমিক

 

উৎসর্গ :- বারীন ঘোষাল

ডাঙা বা ঋণ , মস্তানি পরা হলুদ ।

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সাঁতার দেয় মাছের কাকলি ।
গদ্যের চোখ , কুজনের পরোয়া না করা পাখ ।
চেতনা অতি-র চেয়ে ব্যক্তিগত হয় না
ঝনঝন রুয়ে কাঁসাই- এ ভেসে যায় মৃত বাসন ।
অপর মেখে ভোর হয়েছে পাহাড় ভালোর আড়াল ।
রুয়াম রুয়াম
দলমা দলমা
ডাঙরজুরির জরি পাড় , মুছে চলেছে
কৌরবের প্যাপিরাস , পাপের ভ্রান্ত ধারণা
মুষল হয়ে উঠে যদুবংশ

তুমকো জিন্দাবাদ
খালকো !

উৎসর্গ :- বারীন ঘোষাল ৷ ~ পার্থসারথি ভৌমিক

কবিতার্ঘ্য ॥ বারীন ঘোষাল-এর প্রতি শ্রদ্ধা ৷৷ স্বপন রায়-এর কবিতা~ বাহঋণ ৷৷ শান্তি ৷৷

 

বাহঋণ

……..

সারাদিন চোখের ঝরে পড়া

আর সারারাত

ওই মেটে কি মেটেনা চলে কি চলেনা

দু ফোঁটা চোখের সোঁ সোঁ

##

সেদিনও ফলের পেশা মেশিনবাগানে

ডাকছে জারিণা রোদের বা অন্যকেউ টুকে টুকে

দেদার শীতকাল

একটা ব্রিজ আর রেলসম্ভব ঝিকি গানে গানে

জলপল উড়নঝরোকা ওই

ওই তো গোটানো শাড়ির শোকে নদীর পল্কা বনবাস

##

সেরারা কোথায় যায়

ভাবতে ভাবতে শাঁখের সন্ধ্যা নিয়ে গেল

শালমতীটির সেরা

আর কোথায় ভাসামুখ, কতদূরে

সংসারের ভার

ছোট ছোট চাহিদা কাপের

##

একা একাই ভৈরোঁ বলছে বারীন

বাহ ঋণ!

কবিতার্ঘ্য ॥ বারীন ঘোষাল-এর প্রতি শ্রদ্ধা ৷৷ স্বপন রায়-এর কবিতা~ বাহঋণ ৷৷ শান্তি ৷৷